দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বলেছিলো, তথাবিহীন
ঝুড়ি! অথচ সেই দেশের দিকে আজ বিশ্ব অবাক তাকিয়ে আছে। এতে অবদান আর কারো নয়,
কেবলমাত্র আমাদের তরুণদের। ড্যান ডব্লিউ মজিনা বাংলাদেশের সবকটি জেলা ঘুরে
এসে বলেছিলো, চীনের পর পৃথিবীর বুকে দ্রুত উন্নয়ন করা রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
তিনি বাংলাদেশের চারটি কয়েকটি সম্ভাবনাময় খাতকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৪
পায়ের সাথে তুলনা করেছেন। যার চতুর্থ খাত হলো তথ্য-প্রযুক্তি। বাকি তিনটি
হল, পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প এবং ঔষধ শিল্প।
পোশাক শিল্প বাংলাদেশে এত জনপ্রিয় হবার কারণ কি? উত্তরটা অনেকেই অনেক বড় করে ব্যাখ্যা করে দিবেন, কিন্তু উত্তরটা সহজ। তা হল আমাদের নারী শ্রমিক তথা জনশক্তি। এই নারী শ্রমিকরা যখনি পোশাক শিল্পে অবদান রাখতে শুরু করেছে, তখনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দিন দিন সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি দেশ বর্তমানে পোশাক শিল্পে উন্নতি করতে গেলে হুট করেই সে বাংলাদেশের অবস্থানে কখনোই আসতে পারবেনা, তার মুল কারণ হল, জনশক্তি। ধরলাম উক্ত দেশ জনশক্তি রয়েছে, তাহলেই সে পোশাক তৈরী করতে সক্ষম হবে? না, কারণ দরকার দক্ষ জনশক্তি, যা কেবল আমাদের রয়েছে। এরপর গার্মেন্ট এর যন্ত্রপাতি, মেশিন, পর্যাপ্ত জায়গা, কাচামাল ইত্যাদি তো রয়েছেই। তাই পোশাক শিল্পে আমাদেরকে পেছনে ফেলাটা প্রায় অসম্ভব।
এবার আসুন, আমাদের পরবর্তী সম্ভাবনাময় খাত, যেটা পুরো বাংলাদেশকে বদলে দিতে সক্ষম, তথা বেকার সমস্যার অভিশাপ থেকে দুর করবে আমাদের। পোশাক শিল্পে কাজ করতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রভাব তেমন নেই। তাছাড়া বেতনও সীমিত। ভারতের বর্তমান বৈদেশিক অর্থনীতির গুরুত্বপুর্ণ খাত হলো, সফ্টওয়্যার রপ্তানি, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। ভারতের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক সম্মানজনক বেতনে এইসকল সফ্টওয়্যার ফার্মে চাকরী করছেন। তাই ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
অথচ অত্যন্ত দু:খের বিষয় হল, আমাদের সম্ভাবনাময় দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ প্রজন্ম বেকারের পরিচয় দিয়ে সময়টা নষ্ট করছে, এতে নিজেদেরও অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না, দেশও আশানুরুপ এগোচ্ছে না।
পোশাক শিল্পের মতই তথ্য-প্রযুক্তি খাত তথা আইটি খাত বর্তমান সময়ে আরেকটি বিপ্লব এনে দিতে পারে। যেটা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংলান্ডে শিল্প বিপ্লবের মতই পুরো বাংলাদেশের আইটি বিপ্লব হয়ে পরিবর্তন করে দিতে পারেন পুরো দেশের ভাগ্য। সবচেয়ে অবাক লাগে গত পরশুও একটি নামকরা প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে সিএসই শেষ করা একজন শিক্ষার্থী আমাকে জিজ্ঞেস করে “ভাই, আসলেই অনলাইনে টাকা আয় করা যায়! ” কথাটা উল্লেখ করলাম এই জন্যেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো গতানুগতিক বইমুখী, প্রাকটিক্যাল ব্যবহারটা অনীহার মাঝেই পড়ে আছে। আর তাই আমার দেখা অনেক ফার্মেই বর্তমানে সিএসই করা শিক্ষার্থীর চেয়ে স্বশিক্ষিত কিংবা ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত কিংবা ডিপ্লোমাদারিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি অনেক মেধাবী তরুণ দেখেছি, যারা কেবল এইচ. এস.সি পাশ করার পরই কম্পিউটারে ঝুঁকে পড়েছেন, আর কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে নিজেই একটা কম্পানির মালিক, আবার কেউ কেউ মাসে লাখ টাকার মত আয় করছেন, ফ্রিল্যান্সিং করে। কেউ আবার সফ্টওয়্যার ফার্মে উচ্চ বেতনে চাকরী করছেন। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামুলক করা হয়েছে, যে কাজটি করার দরকার ছিলো বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, সেটা একযুগ পর সরকার উপলদ্ধি করেছে। যার ফলে আজ বেকার দিন কাটাচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ তরুন।
পোশাক শিল্পের মতই তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সারাবিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে এ সর্ম্পকিত অনলাইনে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। কাজ করার আগে, আপনাকে কাজটি প্রাকটিক্যাল জানতে হবে। এজন্য আপনি কোন ভালো প্রতিষ্ঠান কয়েকমাস সময় নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। অনেকেই মেইলে এবং ইনবক্সে আমাকে ট্রেইনিং এর জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চান তাই, এই পোস্টের শেষের দিকে আমি পার্সোনালী কয়েকটি ভালো, বিশ্বস্ত এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে রিকমেন্ড করবো। আপনি চাইলে অনলাইনেও গুগলিং করে কিংবা ইউটিউব থেকে ফ্রি শিখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কোন বিষয়ের পুর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় না, কোন কোর্সের একটি পার্ট কিংবা ৬০% হয়তো পাবেন, কিন্তু নতুন আপডেট বা এডভান্স টিউটোরিয়াল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না। এতে সময়ও কয়েকগুণ বেশি লেগে যাবে। আপনি শেখারও যাচাই করতে পারবেন না, আপনি কতটুকু শিখলেন আর কতটুকু বাকি আছে। তাই কিছু টাকা খরচ করে একটি পুর্নাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করুন। তাছাড়া প্রশিক্ষণ নিলেই অনেক ক্ষেত্রে উনারাই আপনাকে কাজ দিবেন, কিংবা এই সকল প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কম্পানি নিয়ে নেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে দুই/তিন মাস ব্যাপী কিছু বেসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কোন আইটি ফার্মে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় চাকরী করলেন, পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন। এজন্য আপনার কেবলমাত্র একটি কম্পিউটার প্রয়োজন, আর প্রয়োজন আগ্রহ। কেউ আপনাকে বেকার বলবে না কিংবা আপনিও নিজেকে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন। পাশাপাশি আইটি খাতে আপনি নতুন স্বপ্ন দেখবেন, প্রোগ্রামার হওয়ার কিংবা ওয়েব ডেভেলপার হওয়াার। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। হয়তো একদিন আপনিই হবেন, বাংলাদেশের ষ্টিভ জব্স, জুকারবার্গ কিংবা লরি পেইজ। তাই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমান সম্ভাবনাকে লুপে নিন।
পোশাক শিল্প বাংলাদেশে এত জনপ্রিয় হবার কারণ কি? উত্তরটা অনেকেই অনেক বড় করে ব্যাখ্যা করে দিবেন, কিন্তু উত্তরটা সহজ। তা হল আমাদের নারী শ্রমিক তথা জনশক্তি। এই নারী শ্রমিকরা যখনি পোশাক শিল্পে অবদান রাখতে শুরু করেছে, তখনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দিন দিন সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি দেশ বর্তমানে পোশাক শিল্পে উন্নতি করতে গেলে হুট করেই সে বাংলাদেশের অবস্থানে কখনোই আসতে পারবেনা, তার মুল কারণ হল, জনশক্তি। ধরলাম উক্ত দেশ জনশক্তি রয়েছে, তাহলেই সে পোশাক তৈরী করতে সক্ষম হবে? না, কারণ দরকার দক্ষ জনশক্তি, যা কেবল আমাদের রয়েছে। এরপর গার্মেন্ট এর যন্ত্রপাতি, মেশিন, পর্যাপ্ত জায়গা, কাচামাল ইত্যাদি তো রয়েছেই। তাই পোশাক শিল্পে আমাদেরকে পেছনে ফেলাটা প্রায় অসম্ভব।
এবার আসুন, আমাদের পরবর্তী সম্ভাবনাময় খাত, যেটা পুরো বাংলাদেশকে বদলে দিতে সক্ষম, তথা বেকার সমস্যার অভিশাপ থেকে দুর করবে আমাদের। পোশাক শিল্পে কাজ করতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রভাব তেমন নেই। তাছাড়া বেতনও সীমিত। ভারতের বর্তমান বৈদেশিক অর্থনীতির গুরুত্বপুর্ণ খাত হলো, সফ্টওয়্যার রপ্তানি, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। ভারতের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক সম্মানজনক বেতনে এইসকল সফ্টওয়্যার ফার্মে চাকরী করছেন। তাই ভারতে বর্তমানে বেকারত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
অথচ অত্যন্ত দু:খের বিষয় হল, আমাদের সম্ভাবনাময় দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ প্রজন্ম বেকারের পরিচয় দিয়ে সময়টা নষ্ট করছে, এতে নিজেদেরও অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না, দেশও আশানুরুপ এগোচ্ছে না।
পোশাক শিল্পের মতই তথ্য-প্রযুক্তি খাত তথা আইটি খাত বর্তমান সময়ে আরেকটি বিপ্লব এনে দিতে পারে। যেটা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংলান্ডে শিল্প বিপ্লবের মতই পুরো বাংলাদেশের আইটি বিপ্লব হয়ে পরিবর্তন করে দিতে পারেন পুরো দেশের ভাগ্য। সবচেয়ে অবাক লাগে গত পরশুও একটি নামকরা প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে সিএসই শেষ করা একজন শিক্ষার্থী আমাকে জিজ্ঞেস করে “ভাই, আসলেই অনলাইনে টাকা আয় করা যায়! ” কথাটা উল্লেখ করলাম এই জন্যেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো গতানুগতিক বইমুখী, প্রাকটিক্যাল ব্যবহারটা অনীহার মাঝেই পড়ে আছে। আর তাই আমার দেখা অনেক ফার্মেই বর্তমানে সিএসই করা শিক্ষার্থীর চেয়ে স্বশিক্ষিত কিংবা ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত কিংবা ডিপ্লোমাদারিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি অনেক মেধাবী তরুণ দেখেছি, যারা কেবল এইচ. এস.সি পাশ করার পরই কম্পিউটারে ঝুঁকে পড়েছেন, আর কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে বর্তমানে নিজেই একটা কম্পানির মালিক, আবার কেউ কেউ মাসে লাখ টাকার মত আয় করছেন, ফ্রিল্যান্সিং করে। কেউ আবার সফ্টওয়্যার ফার্মে উচ্চ বেতনে চাকরী করছেন। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামুলক করা হয়েছে, যে কাজটি করার দরকার ছিলো বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, সেটা একযুগ পর সরকার উপলদ্ধি করেছে। যার ফলে আজ বেকার দিন কাটাচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ তরুন।
পোশাক শিল্পের মতই তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আইটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সারাবিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে এ সর্ম্পকিত অনলাইনে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। কাজ করার আগে, আপনাকে কাজটি প্রাকটিক্যাল জানতে হবে। এজন্য আপনি কোন ভালো প্রতিষ্ঠান কয়েকমাস সময় নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। অনেকেই মেইলে এবং ইনবক্সে আমাকে ট্রেইনিং এর জন্য ভালো প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চান তাই, এই পোস্টের শেষের দিকে আমি পার্সোনালী কয়েকটি ভালো, বিশ্বস্ত এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে রিকমেন্ড করবো। আপনি চাইলে অনলাইনেও গুগলিং করে কিংবা ইউটিউব থেকে ফ্রি শিখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কোন বিষয়ের পুর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় না, কোন কোর্সের একটি পার্ট কিংবা ৬০% হয়তো পাবেন, কিন্তু নতুন আপডেট বা এডভান্স টিউটোরিয়াল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না। এতে সময়ও কয়েকগুণ বেশি লেগে যাবে। আপনি শেখারও যাচাই করতে পারবেন না, আপনি কতটুকু শিখলেন আর কতটুকু বাকি আছে। তাই কিছু টাকা খরচ করে একটি পুর্নাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করুন। তাছাড়া প্রশিক্ষণ নিলেই অনেক ক্ষেত্রে উনারাই আপনাকে কাজ দিবেন, কিংবা এই সকল প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কম্পানি নিয়ে নেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে দুই/তিন মাস ব্যাপী কিছু বেসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কোন আইটি ফার্মে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় চাকরী করলেন, পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন। এজন্য আপনার কেবলমাত্র একটি কম্পিউটার প্রয়োজন, আর প্রয়োজন আগ্রহ। কেউ আপনাকে বেকার বলবে না কিংবা আপনিও নিজেকে আইটি এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন। পাশাপাশি আইটি খাতে আপনি নতুন স্বপ্ন দেখবেন, প্রোগ্রামার হওয়ার কিংবা ওয়েব ডেভেলপার হওয়াার। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। হয়তো একদিন আপনিই হবেন, বাংলাদেশের ষ্টিভ জব্স, জুকারবার্গ কিংবা লরি পেইজ। তাই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমান সম্ভাবনাকে লুপে নিন।